বুধবার, ১৯ মে, ২০১০

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভ সবচেয়ে সহজ কাজ !

বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. এ. পড়া সবচেয়ে সোজা শুধুমাত্র খাতায় নাম থাকলেই হলো মাঝে মাঝে ক্লাশে হাজিরা দেয়া লাগবে গোটা বৎসরে সাকুল্যে ১০/১২টা ক্লাশ হলেই হলো যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হলো অন্তত:পক্ষে শতকরা ৬০ভাগ ক্লাশ করতে হবে সে হিসেবে ১০টা পেপারে কমপক্ষে মোট ২০০ ক্লাশ-এ উপস্থিতি থাকা দরকার কিন্তু আমার জানামতে এটি ফলো করা হয়না একেবারে কোনও ক্লাশ না করেও পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি লাভের উদাহরণ আছে এতো গেলো ক্লাশে উপত্থিতির কথা

ক্লাশের প্রস্তুতি বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন এম. এ. ক্লাশে কোনো রকমের প্রস্তুতি ছাড়াই স্টুডেন্টরা ক্লাশে আসে অনেকে বই খাতাও আনে না নির্ধারিত ৪৫ মি: পার হলেই এরা উসখুশ করে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী ক্লাশে বো-র ফিল করে

ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা লেখাপড়ায় ভাল অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ টিচার হবে ফিম্যাল হয়তো তখন পুরুষ টিচারের জন্য কোটা নির্ধারণ করতে হবে

আমার এ অভিজ্ঞতা গতকালের হতে পেছনের দিকে অন্ততঃ ১৭ বছরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের একটি বিখ্যাত ডিপার্টমেন্টের বিখ্যাত এ জন্য যে, এই ডিপার্টমেন্টে অন্ততঃ৮-১০ বছর হতে কোনও সেশন-জ্যাম নাই নিয়মিত ক্লাশ, পরীক্ষা, ফলাফল ইত্যাদি হয় (সত্যিকার অর্থে জ্ঞানার্জন ছাড়া) তাই নাস্তিকদের ডিপার্টম্যান্ট বলা হলেও এই ডিপার্টম্যান্টে ভর্তি হতে ছাত্ররা আগ্রহী থাকে ম্যডামদের সংখ্যা বাড়ছে জ্যামিতিক হারে


জানিনা অন্যান্য জায়গায় কী হচ্ছে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন