রবিবার, ৩০ মে, ২০১০

প্রসঙ্গ: মুহাম্মদ (সঃ)এর সাথে হযরত আয়িশা (রাঃ)’র বিয়ে

প্রসঙ্গ: মুহাম্মদ (সঃ)এর সাথে হযরত আয়িশা (রাঃ)’র বিয়ে

মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সাথে হযরত আয়িশা (রাঃ)-এর বিয়ের বিষয়ে লক্ষ্যণীয় দিকগুলো হলোঃ

ক. মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ১৩জন স্ত্র্রীর বয়স-ক্রম দেখলে বুঝা যায় এই ধরনের ‘স্বল্প বয়সী স্ত্রী’ তাঁর আর ছিলো নাঅতএব তাঁকে ‘বালিকাদের প্রতি আকৃষ্ট পুরুষ’ বলা যুক্তি সংগত হবে না

খ. মুহাম্মদ (সাঃ) হযরত আবু বকর ও উমর (রাঃ)-এম মেয়ে বিয়ে করেছেন; হযরত উসমান ও আলী (রাঃ)-এর কাছে মেয়ে বিয়ে দিয়েছেনদৃশ্যতঃ এতে একটি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বিদ্যমান

গ. নবীর দায়িত্ব ছিল বৈধতার সীমা নিজ কার্য-এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলাদেখা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি সে সব কাজ নিজে সবার আগে করেছেন যেসব কাজকে সাধারন জনগণ ‘অবৈধ’ মনে করছিলোতিনি সর্বনিম্ন বয়সের নারী বিয়ে করেছেন, যেমন হযরাত আয়িশা (রাঃ) আবার সামাজিক ও রাজনৈতিক কারনে পঞ্চাশোর্ধ নারীকেও বিয়ে করেছেন, যেমন হযরত সাওদা বিনতে যামনা (রাঃ)

ঘ. যৌন নিপীড়নের স্বীকার নারীরা পরবর্তীতে যখন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা লাভ করে তখন তাঁরা এ বিষয়ে সোচ্চার হয়ে থাকেহযরত আয়িশা (রাঃ) এর ক্ষেত্রে বিষয়টি ছিলো এর বিপরীতএটি সবার জানা আছে যে, মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সাথে হযরত আয়িশা (রাঃ) দাম্পত্য সম্পরক অত্যন্ত মধুর ছিল

ঙ. সবচেয়ে বেশী সংখ্যক হাদীস বলেছেন যারা এমন ৪ জনের অন্যতম ছিলেন হযরত আয়িশা (রাঃ)তাঁর গুণাবলী ছিল অনন্যমুহাম্মদ (সাঃ) স্বভাবতঃই সেটি বুঝতে পেরেছিলেন

চ. এবার আসুন আপত্তি উত্থাপনকারীর মূল অভিযোগের প্রতিপাদ্যে - আয়িশা (রাঃ) সাবালিকা ছিলেন কি না৯ বছর বয়সে সাবালিকা হতে পারে কিনা - বিষয়টি যাচাইয়ের বিষয়মরুভূমি অঞ্চলের বাড়ন্ত শরীরের বালিকা এই বয়সের সাবালিকা হওয়া সম্ভবপরকেন আমরা ধরে নিচ্ছি তিনি নাবালিকা ছিলেন? হ্যাঁ, আমাদের দেশের মেয়েরা এই বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েআঠার বছর বয়সের পূর্ব বিয়ে করতে পারে নাআঠার বছরের আগে কি আমাদের দেশের মেয়েরা যৌন জীবনের উপযুক্ত হয় না? এখানে আমরা তাত্ত্বিক আলোচনা করছিসুতরাং আমাদেরকে মুক্ত মনে ভাবতে হবে

ছ.যখন তাঁর মা তাঁকে কনে হিসাবে রাসূল(সঃ)এর পাঠালেন তখন বুখারীর হাদীসে আছে, তিনি বান্ধবীদের সাথে খেলছিলেন এটিকে যদি তাঁর সাবালিকা না হওয়ার যুক্তি হিসাবে উপস্থাপন করেন তাহলে সেটি গ্রহনযোগ্য বিবেচিত হতে পারে নাআমার স্ত্রী (বিয়ের সময় যার বয়স ছিল ২৫ বছর) তাঁর বর্তমান ৪১ বছর বয়সেও বাচ্চাদের পুতুল খেলায় অংশ গ্রহন করেপুতুল নিয়ে খেলা ইত্যাদি মেয়েদের স্বভাবগত অভ্যাস

জ. রইলো ‘বাল্য বিবাহের’প্রসঙ্গইসলাম বাল্য বিবাহকে অনুমোদন করেছেলে-মেয়ের অভিভাবকবৃন্দ বিয়ের প্রস্তাবণা করতে পারেসংশ্লিষ্ট পাত্র-পাত্রী পরিণত বয়সে এই বিয়েকে মেনে নেয়ার বা অস্বীকার করার অধিকার রাখেনযদি কোন পক্ষ এই ধরনের বাল্য বিবাহ মানতে অস্বীকার করে তাহলে সেটি বাতিল, আদৌ বিয়ে হয়নি হিসাবে, গণ্য হবে

ঝ. সর্বপরি মুহাম্মদ (সঃ)-এর সাথে হযরত আয়িশা (রাঃ)-এর বিয়ের বয়স নিয়ে ব্যাপক মতভেদ বিদ্যমানবুখারীর বর্ণনা একমাত্র বর্ণনা নয়কোন কোন বর্ণনায় সেটি ১৪-১৬সামহোয়ারে গত ২২ মে ২০১০ তারিখে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছেকোন কারনে মডারেটররা সেসব পোষ্টকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেননেটে চাইলে যে কেউ এসব দেখতে পারেন

Ibn Kathir based himself on Ibn Abi al-Zinad's assertion that she was ten years older than `A'isha, however, al-Dhahabi in Siyar A`lam al-Nubala' said there was a greater difference than 10 years between the two, up to 19, and he is more reliable here. It is reported in Taqri'bu'l-tehzi'b as well as Al-bidayah wa'l-nihayah that Asma died in 73 hijrah when she was 100 years old. Now, obviously if Asma was 100 years old in 73 hijrah she should have been 27 or 28 years old at the time of hijrah. If Asma was 27 or 28 years old at the time of hijrah, Ayesha should have been 17 or 18 years old at that time. Thus, Ayesha, if she got married in 1 AH (after hijrah) or 2 AH, was between 18 to 20 years old at the time of her marriage.

শনিবার, ২৯ মে, ২০১০

কৃত্রিম জিনোম – কৃত্রিম জীবনের পূর্বাভাস ?

http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=2775

‘‘মাত্র কয়েকদিন আগেই আমেরিকার কিছু বিজ্ঞানী অভূতপূর্ব সাফল্যের ঘোষণা দিয়ে বসল। বিবিসি সংবাদের শিরোনামটি ছিলো এরকম Artificial life break trough announced by scientist। কিছু বিজ্ঞানী কৃত্রিম জিনোম (genome) সৃষ্টির মাধ্যমে কৃত্রিম জীবন সৃষ্টির কাছাকাছি পৌঁছাব আভাস দিলো। এই সংবাদ পরিবেশন হওয়ার সাথে সাথে বিশ্ব ব্যাপি বিজ্ঞান জগতে এক তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বের বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী “সায়েন্স এক্সপ্রেস (Science express)”– এর ২০শে মে সংখ্যায় একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ক্রেইগ ভেন্টার (Craig Venter), একুশ শতকের একজন অন্যতম জিনোম বিজ্ঞানী, এই কৃত্রিম জিনোম আবিস্কারের জনক। ...
ব্যাকটেরিয়া খুবই সহজ এবং মাত্র একটি জিনোম বহন করে। সেক্ষেত্রে মানুষ বহন করে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম, যা খুবই দীর্ঘ এবং জটিল। মানুষের জিনোমে এত বেশী তথ্য আছে যা কৃত্রিম ভাবে তৈরী করা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব মনে হচ্ছে। কিন্তু প্রযুক্তির উৎকর্ষের কাছে একসময় হয়তো হার মানতে হবে।
ক্রেইগ ভেন্টার দল অবশ্য দাবী করেছে, এই প্রযুক্তি বায়োফুয়েল, বিভিন্ন রোগের টিকা, ফার্মাসিউটিক্যাল সামগ্রী, পরিস্কার পানি তৈরী এবং খাদ্য সামগ্রী তৈরীর ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন করে দিবে। কিন্তু এর পাশাপাশি অনেক অনৈতিক আবিস্কারের পথ খুলে যাবে। অনেক সমালোচক বলেছেন ক্রেইগ ভেন্টার এবং তার সহযোগীরা স্রষ্টার সাথে খেলছে (Playing God) এবং মানুষের উচিত হবে না নতুন জীবন সৃষ্টি করার কোনো প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকলাম এর শেষ কোথায় সেটি দেখার জন্য ’’

বিষয়টি খুব সম্ভবতঃ আপনারা আগেই পত্রিকাতে দেখেছেন। দর্শনের ছাত্র হওয়া সত্বেও আমি প্রায়ই অকপটে স্বীকার করি, একুশ শতক হলো জীব বিজ্ঞানের বিশেষ করে মাইক্রোবায়োলজী, বায়োকেমিস্ট্রি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর যুগ।


এসব আবিষ্কারের সাথে ইসলামকে সাংঘর্ষিক করে তোলার দরকার নাই। প্রকৃতিই হচ্ছে সকল আবিষ্কারের মূল ভিত্তি। মানুষের আবিষ্কারের মাধ্যমে স্রষ্টার ভূমিকা ম্লান হওয়ার কোন কারন নাই।


আমাদের দেখার বিষয়, মানুষকে আল্লাহ কতটুকু এখতিয়ার দিয়েছেন। নবতর আবিষকারের মাধ্যমেই জানা যাবে মানুষের ক্ষমতা কতটুকো। মানুষের ক্ষমতা যতটুকুই হোক না কেন, তা আল্লাহর দেয়া (অ-আস্তিকদের মতে ‘প্রকৃতি’র)।


মানুষ যে যন্ত্র বানায় মানে অজৈব যা কিছু বানায় তাতো ‘প্রাণ’ আবিষ্কারের মতোই। কোরআন শরীফে জায়গায় জায়গায় বলা হয়েছে, ইসলামী দর্শন মোতাবেক ‘সব’ কিছুরই প্রাণ আছে। সব কিছু আল্লাহর তাসবীহ করে। এমনকি অ-পদার্থ যা তা-ও সত্ত্বাসম্পন্ন জীবন্ত। যেমন মানুষের ‘আমল’ কিয়ামতের মাঠে স্বাক্ষ্য দেবে।


সাধারনভাবে বলা যায়, মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টির ক্ষমতা দিয়েছেন। এর ক্ষেত্র ও সীমা হলো নির্ধারণ করার বিষয়। আমার পেশাগত বিষয় ‘দর্শনে’র দিক হতে কৃত্রিম জিনোম সৃষ্টিকে আমি যৌক্তিকভাবে সম্ভবপর হিসাবে পাই। খৃষ্টবাদের মতো সবকিছুতে ‘গেল গেল রব’ তোলা, ‘অনুমোদন নাই’ বলে খামাকা চিৎকার তোলা অর্থহীন। যা কিছুর প্রতিবাদ করা হবে, তাকে কী বলা হচ্ছে তা আগে বুঝতে হবে।


অবুঝদের অর্থহীন ধর্ম রক্ষার জিহাদে আমি নাই।


আর সায়েন্স ফিকশান মুভিগুলোতে এ সম্পর্কে যা কিছু দেখায় সেগুলো নিছক গল্প মাত্র নয়। আর্টইফিসিয়্যাল ইনটেলিজেন্স-এর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দূর্বল এ.আই. বনাম সবল এ. আই.। সায়েন্স ফিকশান মুভিতে যা কিছু দেখানো হয় তা সব সবল অর্থএ এ.আই.। বাস্তবে বিজ্ঞান এখনো সবল এ. আই. -এ পৌঁছতে না পারলেও অদূর ভবিষ্যতে তা পারবে - এ কথা মানতে আমার দ্বিধা নাই।


সর্বশেষে আমাদের এ কথা মানতেই হবে যে, ইসলাম ও বিজ্ঞানের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব দেখা দিলে প্রথমেই আমাদের সংশ্লিষ্ট ‘বিজ্ঞান’ ভাল করে অবজেক্টলি বুঝতে হবে। এতেই দ্বন্দ্ব না মিটলে ‘দ্বীন’কেও যথাযথভাবে অধ্যয়ন করতে হবে। কারন, নীতিগতভাবে বিজ্ঞানের সাথে ইসলামের বেমিল হতে পারে না। কারন এতদুভয়ের উৎস একই - আর তাহলো প্রত্যাদেশ।

চট্টগ্রামের লি কুয়ান: মহীউদ্দিন চৌধুরী !

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশানের সদ্য পদত্যাগী মেয়র মহীউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামকে সিঙ্গাপুর বানানোর কথা বলেছেন। এতে আমরা চাটগাঁইয়ারা খুব খুশী। তবে এখানে সমস্যা হলো সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া হতে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় স্বাধীনতা লাভ করেছে। লি কুয়ান তৎকালীন মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন দলের নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন সিঙ্গাপুরের নেতা। আর মহীউদ্দিন চৌধুরী হচ্ছেন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি। তবে তাঁর দল যেহেতু ক্ষমতায়, তিনি কি পারবেন সংসদের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে স্বাধীন করে নিতে? স্মর্তব্য যে, সিটি গভর্ণমেন্টের ধারনা দিয়ে তিনি সতের বছর কাটিয়েছেন। এই সিটি গভর্ণমেন্ট আদৌ কখনো হবে কিনা কেউ জানেনা। অবশ্য এর প্রয়োজনীয়তা কি সেটি চট্টগ্রামবাসী জানেনা। মহীউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের এক অনার্স পরীক্ষায় নকলের দায়ে বহিস্কৃত হবার পর হতে শ্রমিক নেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর কোন ব্যবসা-বানিজ্যের কথা শোনা যায়নি। অলৌকিকভাবে তিনি চট্টগ্রামের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। আমরা, চট্টগ্রামবাসীরা একজন লি কুয়ান পেলে ধন্য হতাম। কিন্তু মহীউদ্দিন চৌধুরী ...? কি আর বলবো ...। কথায় বলে, ‘কোথায় গাছের আগা আর কোথায় চৌকির তলা’। স্বীয় রাজনৈতিক বিরোধীদের অর্ন্তদ্বন্দ্ব ছাড়া যার বিশেষ কোন পূঁজি নাই। অবশ্য, ড্রেনের উপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মতো উর্বর ধারনার জন্য তিনি যথার্থই কৃতিত্বের দাবীদার।

শুক্রবার, ২৮ মে, ২০১০

নাড়ীর টানে, প্রাণের আবেগে শেকড়ের সন্ধানে একজন অধিবাসী হিসাবে আমার গ্রামে যাত্রা

আজ আবার বাড়ী গেলাম। সারাদিন থাকার নিয়তে। দ্বিতীয় বারের মতো। গ্রামের আত্মীয়-স্বজনরা ভাবলেন, দুপুরের খাওয়ার জন্য না ডাকলে বুঝি তাদের ডিসক্রেডিট হবে। দায়িত্বের খাতিরে তারা দুপুরের খাওয়ার জন্য টানাটানি করলেন। অনেকে। কিন্তু আমি অনড়। বাসা থেকে হট বক্সে করে নেয়া খাবারেই খেলাম। পয়ঁত্রিশ বছর ধরে পরিত্যক্ত ঘরে প্রায় সারাদিন কাটালাম।

এক দাদী। বয়স শতোর্ধ। বাবার ডাক নাম বলাতে চিনতে পারলেন। আম্মার বিয়ের কাহিনী শোনালেন। বললেন, কেন জানি গত রাতে আমার আম্মার কথা উনার মনে পড়েছে খুব। আজ আমাকে দেখে খুব, খুউব খুশী হলেন। খাঁটী চট্ট্গ্রামের ভাষায় কতো কথা যে বললেন! আমার মরহুম চাচার একটা ছবি আনিয়ে আমাকে দেখালাম।


বড় চাচা। আমার মরহুম পিতার অন্ততঃ এক যুগ কনিষ্ঠ। বললেন, তোর বাবার এতো বছরের ছোট হয়েও এখনো আমি বেচে আছি। অথচ বদ্দা মারা গেছে আজ ২০ বছর। বাবা-মায়ের সুনাম এনজয় করা যে কতো বিরাট একটা ব্যাপার এটি আমরা গ্রামে গেলে টের পাই। খুব কম লোকেরাই আমাদের চিনে। অধিকাংশ লোকদের আমরা আইডেন্টিফাই করতে পারিনা। মুরুব্বীরা বিশেষ করে আমার চেহারা দেখে প্রায়শঃই বলে উঠে, ‘এটা মহব্বতের ছেলে নাকি?’। বোধকরি বাবার চেহারার সাথে আমার মিল বেশী।


দাদারা আট ভাইয়ের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে আমার বাবা সবার বড়। যতটুকু দেখেছি, শুনেছি - উনি সব দিক থেকেই বড় ছিলেন। আম্মাও ছিলেন তেমন-ই। আমার দাদীকে আব্বা দেখেননি। ছোট বেলা হতে যাকে দাদী হিসাবে জানতাম তিনি যে আমাদের আপন দাদী নন -এটি আমরা জেনেছি অনেক বড় হয়ে। আব্বা যতদিন বেচে ছিলেন, আমাদের শহরতলীর বাসাটিতে আত্মীয়-স্বজনদের নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আম্মাও এটি মেইনটেইন করে গেছেন।


আজ তাঁরা নাই। ঢাকা-চট্টগ্রামে এলিট হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ভাই-বোনরা কেউ গ্রাম-মুখী কখনো হবেনা - এটি স্থির নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারার পর, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর; বেড়াতে নয়, একবেলা ঘুরে আসার জন্য নয়, শুধু জেয়ারতের জন্য নয়; নাড়ীর টানে, প্রাণের আবেগে শেকড়ের সন্ধানে একজন অধিবাসী হিসাবে আমার গ্রামে যাত্রা। পরবর্তী প্রজন্মকে চাই, মৃত্তিকা-সংলগ্ন থাকুক তারা। যেন ভুলে না যায় তাদের ঐতিহ্য, চেতনা আর মাটিকে। যে মাটিতে মিশে আছে তাদের পূর্ব-প্রজন্ম। তাঁদের সমস্ত স্বত্তা।


ঐতিহ্যহীন্ বৈভব - অর্থহীন। কেননা, ঐতিহ্যই হলো অমলিন প্রেরণা।

শুক্রবার, ২১ মে, ২০১০

শেকড়ের সন্ধানে

পঁয়ত্রিশ বছর পর গ্রামে গেলাম পুরো দিন থাকার নিয়তে নীচে পাকা উপরে টিন তিন রুমের একটি ঘর 1975 সালে শহরে চলে আসার পর হতে যতবারই গ্রামের গিয়েছি চাচাদের ঘরে উঠেছি, বেশীর বেশী এক বেলা থেকেছি আমরা নয় ভাই-বোনদের কেউই গ্রামের থাকে না কোনও খবরও রাখে না মাঝে মাঝে, বিশেষ করে ঈদের দিন বা পরের দিন বাবার কবর যেয়ারত করার জন্য্ গাড়ীতে করে যেয়ে আবার গাড়ীতে করে ফিরে আসে আমাদের জমি যারা চাষ করে তাঁদেরকে আমরা কেউই চিনে না এমনকি আমাদের পৈতৃক জমিগুলোর অবস্থান কোথায়, আমাদের ভাই-বোনেরা বলতে পারবে না আমিও না গ্রামের বাড়ী হতে মাত্র চৌদ্দ মাইলের মধ্যে চট্ট্গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী করি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসায় থাকি ভাবলাম গ্রামে যাবো

গেলাম কারো ঘরে উঠলাম না সংগে দুপুরের খাবার নিয়ে গেলাম সারাদিন ঘরে ছিলাম জুমার পরে আব্বার কবর যেয়ারত করে সোজা ঘরে চলে আসলাম মজার ব্যাপার হলো ঘরে কাঠের জিনিস প্রায় সবই ঘুণে ধরে বরবাদ হয়ে গেছে অনেক কষ্টে জানালা খুললাম খুলতে গিয়ে কয়েকটি পড়ে যাবার উপক্রম হলো আসার সময় দেখি আর বন্ধ করা যাচ্ছে না খাট-চৌকিগুলো নাড়াতে গেলেই ভেঙ্গে পড়ে যাবার অবস্থা আলমারী গুলোর তাকগুলো সব ঝুরঝুরে হয়ে গেছে বৃষ্টি শুরু হতেই দেখা গেল এখানে সেখানে বৃষ্টি চুইয়ে পড়ছে এক জায়গায় টিনের ফাঁকে আকাশ দেখা যাচ্ছে মাত্র দুটি হোল্ডারে বাল্ব লাগানো গেলো ফ্যান নাই একটিও বৃষ্টির মধ্যেও ভ্যাপসা গরম দুটি মশারী দেখলাম ইদুর-তেলাপোকায় কেটে কিচ্ছু রাখে নাই একমাত্র টয়লেটের তালাটি অনেক কষ্টে খুললেও দরজা খুলছে না কতটুকু খোলার পরে দেখা গেল আর বন্ধ করা যাচ্ছে না কিছু ক্রোকরীজ আছে একটি পিতলের বদনা কেউ জানি দরাপরবশ হয়ে চুরি না করে রেখে দিয়েছে সেগুলো দেখে ছোট বেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল

আমরা ভাইবোনেরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত, তথাকথিত এলিট এই হলো আমাদের গ্রামের বাড়ীর অবস্থা অবশ্য শহরে আমাদের বিল্ডিং আছে সেখানে আমরা একসাথে ঈদ করি

ভাবছি প্রতি সপ্তাহে বাড়ী যাব ক্রমে ক্রমে সব ঠিকঠাক করে স্ত্রীসহ সন্তানদেরকে নিয়ে থাকব যাতে তাঁরা গ্রামের আত্মীয়-প্রতিবেশীদের সাথে পরিচিত ও ঘনিষ্ট হওয়ার সুযোগ পায়

বুধবার, ১৯ মে, ২০১০

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভ সবচেয়ে সহজ কাজ !

বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. এ. পড়া সবচেয়ে সোজা শুধুমাত্র খাতায় নাম থাকলেই হলো মাঝে মাঝে ক্লাশে হাজিরা দেয়া লাগবে গোটা বৎসরে সাকুল্যে ১০/১২টা ক্লাশ হলেই হলো যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হলো অন্তত:পক্ষে শতকরা ৬০ভাগ ক্লাশ করতে হবে সে হিসেবে ১০টা পেপারে কমপক্ষে মোট ২০০ ক্লাশ-এ উপস্থিতি থাকা দরকার কিন্তু আমার জানামতে এটি ফলো করা হয়না একেবারে কোনও ক্লাশ না করেও পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি লাভের উদাহরণ আছে এতো গেলো ক্লাশে উপত্থিতির কথা

ক্লাশের প্রস্তুতি বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন এম. এ. ক্লাশে কোনো রকমের প্রস্তুতি ছাড়াই স্টুডেন্টরা ক্লাশে আসে অনেকে বই খাতাও আনে না নির্ধারিত ৪৫ মি: পার হলেই এরা উসখুশ করে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী ক্লাশে বো-র ফিল করে

ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা লেখাপড়ায় ভাল অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ টিচার হবে ফিম্যাল হয়তো তখন পুরুষ টিচারের জন্য কোটা নির্ধারণ করতে হবে

আমার এ অভিজ্ঞতা গতকালের হতে পেছনের দিকে অন্ততঃ ১৭ বছরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের একটি বিখ্যাত ডিপার্টমেন্টের বিখ্যাত এ জন্য যে, এই ডিপার্টমেন্টে অন্ততঃ৮-১০ বছর হতে কোনও সেশন-জ্যাম নাই নিয়মিত ক্লাশ, পরীক্ষা, ফলাফল ইত্যাদি হয় (সত্যিকার অর্থে জ্ঞানার্জন ছাড়া) তাই নাস্তিকদের ডিপার্টম্যান্ট বলা হলেও এই ডিপার্টম্যান্টে ভর্তি হতে ছাত্ররা আগ্রহী থাকে ম্যডামদের সংখ্যা বাড়ছে জ্যামিতিক হারে


জানিনা অন্যান্য জায়গায় কী হচ্ছে

মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০১০

আমাদের জাতীয় শিক্ষানীতি: সমস্যা ও করণীয়

টেকশই অর্থাৎ বিতর্ক-উর্দ্ধ মোটামুটি গ্রহনযোগ্য কোনও শিক্ষনীতি কি আমাদের দেশে আদৌ হবে? মনে হয় না কারন ‘আমরা’ কারা এটা নিয়েই আমাদের যত গন্ডগোল মানে আমরা বাঙ্গালী (সেক্যুলার) নাকি বাংলাদেশী (ইসলামপন্থী) - এটির হয়তে ‘সমাধান’ হতে হবে, না হয় এসব প্রশ্ন কোন এক ‘জাতীয় চেতনা’য় ভেসে যেতে হবে এক সরকার আসবে, আর এক একটি ‘জাতীয় শিক্ষানীতি’ করবে যথারীতি পরবর্তী সরকার এসে তা উল্টাবে আসল সমস্যা হলো আমাদের নজিরবিহীন দলবাজি নিজ নিজ দলের প্রতি আমাদের আনুগত্য সীমাহীন, প্রায় ধর্মীয় চেতনার কাছাকাছি

যতই আমরা একমুখী শিক্ষার কথা বলি মাদ্রাসা ব্যবস্থাকে তুলে দেয়া বিদ্যমান বাস্তবতায় অসম্ভব মাদ্রাসা শিক্ষার বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিয়ে একে সংস্কার করা সম্ভব সরকার চাচেছ মাদ্রাসা শিক্ষার অবলুপ্তি, সংস্কার হচ্ছে সাইনবোর্ড

মাদ্রাসা শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিবর্গ অসম্ভব রকমের হীনমন্যতায় ভোগে তাই তাদেরকে যত নিগেটিভ এ্যটিচ্যুডে দেখা হবে তারা ততই চেতবে এদেরকে সামলানো অত্যন্ত কঠিন যে বীর সরকার জামাত-শিবিরকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে তারাই মাদ্রাসাওয়ালাদের সাথে সমঝোতা করেছে চট্টগ্রামে, হাটহাজারী মাদ্রাসার সাথে গন্ডগোল, গ্রেফতার এবং একদিনের মধ্যেই সকল বন্দীর মুক্তি দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের ঘটনা নিশ্চ্য়ই সবার মনে আছে

যাহোক, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত? আমাদের দেশ, সমাজ যেমন ঠিক তেমনি সমন্বয়ী যাতে আমাদের স্ব স্ব ধর্মীয় পরিচয় সহকারে আমরা এক উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে নিজেদের ভাবব, গড়ে তুলতে চাইব আমাদের কোনও শিক্ষনীতি আদৌ হবেনা কারন ‘আমরা’ কারা এটা নিয়েই আমাদের যত গন্ডগোল মানে আমরা বাঙ্গালী (সেক্যুলার) নাকি বাংলাদেশী (ইসলামপন্থী) - এটির হয়তে ‘সমাধান’ হতে হবে, না হয় এসব প্রশ্ন কোন এক ‘জাতীয় চেতনা’য় ভেসে যেতে হবে এক সরকার আসবে, আর এক একটি ‘জাতীয় শিক্ষানীতি’ করবে যথারীতি পরবর্তী সরকার এসে তা উল্টাবে আসল সমস্যা হলো আমাদের নজিরবিহীন দলবাজি নিজ নিজ দলের প্রতি আমাদের আনুগত্য সীমাহীন, প্রায় ধর্মীয় চেতনার কাছাকাছি

যতই আমরা একমুখী শিক্ষার কথা বলি মাদ্রাসা ব্যবস্থাকে তুলে দেয়া বিদ্যমান বাস্তবতায় অসম্ভব মাদ্রাসা শিক্ষার বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিয়ে একে সংস্কার করা সম্ভব সরকার চাচেছ মাদ্রাসা শিক্ষার অবলুপ্তি, সংস্কার হচ্ছে সাইনবোর্ড

মাদ্রাসা শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিবর্গ অসম্ভব রকমের হীনমন্যতায় ভোগে তাই তাদেরকে যত নিগেটিভ এ্যটিচ্যুডে দেখা হবে তারা ততই চেতবে এদেরকে সামলানো অত্যন্ত কঠিন যে বীর সরকার জামাত-শিবিরকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে তারাই মাদ্রাসাওয়ালাদের সাথে সমঝোতা করেছে চট্টগ্রামে, হাটহাজারী মাদ্রাসার সাথে গন্ডগোল, গ্রেফতার এবং একদিনের মধ্যেই সকল বন্দীর মুক্তি দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের ঘটনা নিশ্চ্য়ই সবার মনে আছে

যাহোক, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত? আমাদের দেশ, সমাজ যেমন ঠিক তেমনি সমন্বয়ী যাতে আমাদের স্ব স্ব ধর্মীয় পরিচয় সহকারে আমরা এক উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে নিজেদের ভাবব, গড়ে তুলতে চাইব

শনিবার, ১৫ মে, ২০১০

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সম্পর্কে অপ-মন্তব্য

এক জায়গায় দেখলাম রেজাল্ট দিতে দেরী হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেত মারার প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে বিষয়টি খুবই আপত্তিজনক মাথা ব্যথার প্রতিকারে মাথা কেটে ফেলার মতো ক্ষেদক্তোক্তির মতো শোনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা (মূলত: সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ) যে স্বাধীনতা ভোগ করেন তা অতিপ্রয়োজনীয়, যদি আমরা কোয়ালিটি শিক্ষা চাই

সেশন জটের পেছনে যতোগুলো কারন বলা হয় তা সবই ঠিক শিক্ষকদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখেই তা এর সমাধান করতে হবে মিলিটারী কায়দায় শিক্ষকদের চালানোর চেষ্টা করলে মূল উদ্দেশ্যটাই মারা পড়বে বলা বাহুল্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মূল দায়িত্ব হলো গবেষণা এবং পাঠদান পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন - ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রাথমিক কাজ নয় আমরা পয়সার জন্য এটি করি

মাস্টার্সের ছাত্ররা অনার্স পর্যায়ের খাতা দেখতে পারে এটি অসম্ভব নয় আর মাষ্টার্স লেভেলের ছাত্রদের মূল্যায়ন শ্রেনীভিত্তিক হতে পারে পরীক্ষার হলে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে ‘পাস’ করা - এটি যা বর্তমানে প্রচলিত একটি খুব বাজে পদ্ধতি এক পৃষ্ঠা উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য আট আনা -ও পাওয়া যায় না

আমরা যদি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকবৃ্ন্দ প্রায় বিনা পয়সায় যথাসময়ে খাতা দেখবেন - এটি একটি অসম্ভব প্রত্যাশা

বুধবার, ৫ মে, ২০১০

যৌতুক- আপনার আমার করণীয়

আজ এক পত্রিকায় পড়লাম এক টিন-এজ বঁধূকে কেরোসিনের আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে তার স্বামী ও শ্বাশুড়ী মিলে মেয়েটি অতি-দরিদ্র পরিবারের সন্তান ৫০০০০/= টাকা যৌতুকের জন্য এ ঘটনা স্থানীয় সংসদ সদস্যের ১০,০০০/= টাকা হতে ৬০০০/= টাকায় এম্বুলেন্স ভাড়া করে তাকে ঢাকায় আনা হয়েছে মেয়েটি বাঁচবে না নিশ্চিত

আামাদের দেশে যৌতুকের জন্য নির্যাতন এখন নৈমত্তিক ব্যাপার কোথায় হচেছ, বিস্তারিত ঘটনা কি, ভিকটিমের বর্ণনা - এসবই এখন দেখার বিষয়

যৌতুকের এ ভয়াবহ অবস্থা হতে কিভাবে সমাজ মুক্ত হবে?

আসলে আমরা সমাজের শিক্ষিত এলিটরা উপহারের মোড়কে যৌতুক নেই বলে বৃহত্তর দরিদ্র জনগোষ্ঠীও সেটিকে আমল করে এবং তাদের লেভেলেই আমল করে; আগুনে পোড়ানো, কূপিয়ে মারা ইত্যাদি এই রোগের স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ

আমার মতে কোন প্রকারের বাহুল্য - খরচ ছাড়াই শিক্ষিত ছেলে - মেয়েরা বিয়ে করা উচিত সর্বমোট ৫০ -৬০ হাজার টাকা খরচে পুরো ব্যাপারটাই সমাধা হলে সমাজের সুবিধা-বঞ্চিত শ্রেণীও এটা মেনে নিবে

অবশ্য ‘শিক্ষিত’ মেয়েরা এটা মানলে তো ! আমি দেখেছি বোরকা পড়া ‘ইসলামপন্থী’ মেয়েরাও বিয়ের খরচের ব্যাপারে আপোষহীন সম্প্রতি আমার এক স্নেহাষ্পদ প্রাক্তন ছাত্র এক নেকাবধারিনীকে বিয়ে করেছে যাতে মেয়ের মামী বরের পকেটের পয়সায় ১২ শ টাকা দামের লিপিস্টিক কিনেছে সেলুকাস .... !

শনিবার, ১ মে, ২০১০

ভুল আর নির্ভুল

ভুল তখনই ‘ভূল’ হয় যখন তা হয় অনিচ্ছাকৃতভাবে কৃত ইচ্ছে করে ‘ভূল’ লেখা ভুল নয়, স্টাইল বলা যেতে পারে কখনো্ যদি কেউ ভুল না করতো, তাহলে সাহিত্যের ভাষাগত অগ্রগতি থেমে যেত ভুল কাম্য, তবে সেটা স্বেচ্ছাকৃত হতে হবে এক্ষেত্রে এটি হবে পরিবর্তন বা প্রগতি ভাষার বিবর্তন তথাকথিত ভুলের উপর দাডিঁয়ে ভুল-নির্ভুলের মাপকাঠি হলো সত্য আর মিথ্যার প্রভেদ সত্য আর মিথ্যা অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত

তাহলে

সত্য কী/কি ?

সত্য সংগায়নের উপযুক্ত নয় একে চেনা যায় দুটি বৈশিষ্ট্য দিয়ে:
1/ যা সত্য তা সহজাত হবে কমনসেন্স একে এলাউ করবে তা যা-ই হোক না কেন
2/ সত্য হবে সামগ্রিক সমগ্রের সাথে সংগতিপূর্ণ না হলে কোন ‘সত্য’ সত্যিকারভাবে সত্য হতে পারে না খন্ডিত ‘সত্য’ আদৌ সত্য নয় সত্য-অনুরূপ মিথ্যা

সত্যতা হলো বাস্তবতা